Saturday 21 April 2007

শাওন তুমি গ্রামের ছেলে গ্রামে ফিরে যাও , শহরের সভ্য যান্ত্রিক সমাজে তোমার মত ছেলে নোংরা আবর্জনা ছাড়া আর কিছু নও

--- শাওন তুমি গ্রামের ছেলে গ্রামে ফিরে যাও , শহরের সভ্য যান্ত্রিক সমাজে তোমার মত ছেলে নোংরা আবর্জনা ছাড়া আর কিছু নও ।

যান্ত্রিক সমাজের দিন মনে হয় শেষ হয়ে এসেছে । শাওন উঠে দাড়ায় ; পথিবীটা ঘুরতে থাকে

পাশের বাড়ির ছেলেমেয়েরা ব্যাডমিন্টন খেলতো । সেটা দেখে নিজের ইচ্ছা চুড়ান্ত পর্যায়ে যেত । র্যাকেট ছিলো না , মা বলে বাসার ডান পাশে সিম গাছ লাগাতে । সিমের মাচা বানালাম । সিম লাগালাম । সে সিম বেঁচে র্যাকেট কিনলাম ।

নিজের টাকা দিয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে উঠে কিছু কেনাতে মনের কাছেই ভালো লাগলো । কপোতাক্ষে বান আসতো । সেসময় নৌকাতে উঠতাম আমি , লিংকন , সানি । 3-4 ফুট উপর-নিচু হতো নৌকা । আমাদের মজা ততই বাড়ত ।

ঐ কোণটাতে বর্শি নিয়ে কয়েকদিন বসেছিলাম মাছ মারার জন্য । একটা মাছও কোনোদিন উঠেনি । পরে রাগের জন্য বর্শি আগুনে পুড়িয়ে ফেলি ।

শীতের সময় দেখতাম ছোট চাচা চাদর জড়িয়ে কাধেঁর উপর একটা লগিতে 6-7টা ভাড় নিয়ে নদীর ঐ পারে যেত খেজুরের রস আনার জন্য । সকাল 8টার ভেতরে রস হাজির হতো । কাসার গ্লাসে করে রস খেতাম । তারপর সেই রস উঠানে বসে জ্বাল দেওয়া শুরু হতো । মা , ছোট চাচী অথবা দাদু বসে বসে সেই রস জ্বাল দিতো । বেলা 12-1টা পর্যন্ত চলতো সেই জ্বাল দেওয়া । যতক্ষন না গুড় হবে ততক্ষন সেইরকম চলতেই থাকবে ।

বাবা তখন বারান্দায় বসে বসে বাংলা রচনা মুখস্ত করাতো । এগুলা ছিলো দাদুবাড়ির কথা ।

একদিন হঠাৎ এক বসন্তের দুপুরে দাদুবাড়ি ছেড়ে নতুন বাসায় উঠলাম । নিজের মনের মত বাসা । টিনের চাল । ইটের গাথনী । নিজের একটা ছোট রুম হলো । গরমের সময়ও বাসাটা থাকতো একদম ঠান্ডা । কারণ টিনের উপরেই ছিলো শত বছরের পুরানো সেই আম গাছটি । ছায়া দিয়ে যেতো সে ।

সাইকেল কিনেছিলাম আব্বুর কাছে প্রতিজ্ঞা করে যে চতুর্থ শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষায় 1থেকে 3 এর ভেতরে রোল হবে । সাইকেল কিনে দিলো বাবা , কিন্তু 1 থেকে 3 তো দূরের কথা তখন রোল হলো 7 । ভাগ্যিস সেদিন ঐ বাসা থেকে দাদুকে ডেকে নিয়ে এসেছিলাম । না হলে শাওন আর থাকত না । তবুও জ্বর ছিলো বেশ কয়েকদিন । বাবা মা দু'জন আমাকে মারতেছে আর দাদু একা ঠেকাচ্ছে , বুড়ির জন্য মোটেও সহজ ব্যাপার নয় । এই দাদুই আমার সব ।

সাতার শিখেছিলামও দাদুর কাছ থেকে । প্রথম প্রথম ঝুনা নারকেল নিয়ে পুকুরে যেতাম । ঝুনা নারকেলে বেশি সুবিধা করাগেলো না । পরে বাসার সামনের মোট সাইকেলের দোকান থেকে টিউব নিয়ে যেতাম , সেটিও শিখতে পারলাম না । পরে বাবা নিজেই দেখলাম একদিন একটা 100 টাকা দিয়ে টিউব কিনে নিয়ে এলো । সেটি ছিলো কার্টুনে ভর্তি । সেটি নিয়ে দাদুর সাথে পুকুরেই পড়ে থাকতাম । এভাবেই হলো সাঁতার শেখা ।

1 comment:

Top 10 Insurance Companies said...

Nice Article sir, Keep Going on... I am really impressed by read this. Thanks for sharing with us. Bangladesh National Flag Images.