Tuesday 20 March 2007

REMIx Kadiani AnD sHAoN

দাবীর পর দাবী জানতেই আছে । আমি বসে হাসতে থাকি যে একটা গোষ্টী মুসলমান হওয়ার জন্য দাবী জানাচ্ছে । তাহলে কি ধরে নেবো না যে এটি লোক দেখানো দাবী ? এটি একটা চক্রান্তের দাবী ?? এটি একটি বড় ধরনের নীল নকশার দাবী ???

মীর্যা গোলাম আহমেদ কাদিয়ানী যে একটি কথাও স্পষ্ট ভাবে বলে না তাকে নিয়েই চলতেছে উপমহাদেশে হট্টগোল । আমার মনে হয় তার মানসিক কোনো অসুস্থতা আছে আর যারা এভাবে তার সমর্থন করছে তাদের মাথায় আছে দি¡গুন ।

৯ই জানয়ারী ২০০৪ এ কাদিয়ানীদের প্রচার সম্পাদক মানব জমিনে নিজেদেরকে মুসলমান দাবী করে একটা ফিচার দিয়েছিলো । তার বক্তব্য হলো : "আমাদের সাথে অন্য অন্য মুসলমানদের পার্থক্য হলো ইমাম মাহদীকে নিয়ে । অন্যান্য মুসলমানরা বলে যে , ইমাম মাহদী এখনো আবির্ভুত হয়নি আর আমাদের কথা হলো আবির্ভুত হয়েছে আর তিনিই হলেন মীর্যা গোলাম আহমেদ কাদিয়ানী । বিষয়টা এতটুকুই ।"

এবার দেখি মীর্যা গোলাম আহমেদ নিজের মুখে কি বলেছেন । তিনি ১৯১৮সালের ৭ই ডিসেম্বর কাদিয়ানী পত্রিকা "আল ফজল" -এ বলেন : আমি মাহদী এবং ব্রিটিশ সরকার আমার তরবারি । আল্লাহ এই সরকারকে সাহায্য করার জন্য ফেরেশতা প্রেরন করেছেন ।
এটার মাধ্যমে কি বোঝা যায় না যে কাদিয়ানী ব্রিটিশ সরকার কত্ ক লেলিত এক দল , যারা মুসলমান সমাজে শুধু নৈরাজ্য স্ ষ্টি করার জন্য এসেছে ???

আমি লেখার প্রথমেই বলেছি মীর্যা গোলাম আহমেদ কাদিয়ানীর কোনো কথা-ই ক্লীয়ার না । আসেন সেটা দেখা যাক ।
১ম , মীর্যা গোলাম আহমেদ কাদিয়ানী ১৮৮৫ সালে নিজেকে মুজাদ্দেদ হিসাবে দাবী করেন ।

২য় , মীর্যা গোলাম আহমেদ কাদিয়ানী ১৮৯১ সালে নিজেকে মাহদী হিসাবে আবার দাবী করে ।
৩য় , একি বছরে সে আবার দাবী করে প্রতিশ্রুত মসীহ বলে ।
৪র্থ, মীর্যা গোলাম আহমেদ কাদিয়ানী ১৯০১ সালে নিজেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ নবী বলে দাবী করে ।
৫ম , মীর্যা গোলাম আহমেদ কাদিয়ানী ১৮৯১ সালের ২১শে অক্টোবর তাবলীগে রেসালাতের ২য় পাতায় বলেন : হযরত মোহাম্মদ ( স: ) আল্লাহর প্রেরিত শেষ নবী , তার পরে আর কোনো নবী আসবেন না ।

-- অন্যদিকে গোলাম আহমেদ কাদিয়ানী -এর রচিত "মেরাতে কামলাতে ইসলাম" বইয়ের ৩৮৩ প্ ষ্ঠায় তিনি বলেন : আমি নবী নই তবে আল্লাহ আমাকে নবায়নকারী কালিম বানিয়েছেন ।
এবারের বিষয়টা আরো জটিল ।


৬ষ্ঠ , গোলাম আহমেদ কাদিয়ানী "আঞ্জামে আযম" বইয়ের ২৮ পাতায় উল্লেখ করেন : মোহাম্মদ ( স: ) আল্লাহর শেষ নবী আবার "হাকীকাতুল ওহীর" ৬৮ পাতায় বলে : ঐ আল্লাহর শপথ , যার হাতে আমার প্রান , তিনিই আমাকে প্রেরন করেছেন এবং নবী নামে অভিহিত করেছেন ।

------আচ্ছা , এখন কথা হলো , বাংলাদেশের সরকার এমনি করে কেনো একজন মুসলিমকে সরকারীভাবে অমুসলিম ঘোষনা করবে ?? আর দেশের মানুষও বা সেটি চাবে কেনো ??--- কারণ , তারা চায় শান্তি , তারা চায় এদেরকে অমুসলিম ঘোষনা করে ইসলাম বিরোধী কার্যক্রম বন্ধ করতে ।


. . . এবং শাওন চায় এই রিমিক্স কাদিয়ানী আরেকটি ধর্ম তৈরি করুক , শান্তির ধর্মে এসে অশান্তি বাড়াতে হবে না . . .

Saturday 17 March 2007

অলস বিকেলের শেষ রোদ /প্রথম পর্ব

১৭টা বছর পার করে দিলাম জীবনের । নিজের মধ্যেই নিজে অনুভব করি অনেক কিছু পরিবর্তনের । কি পেলাম এই জীবনে ?? পাওয়া না পাওয়া মিলেই তো জীবন । আমি ব্যক্তিগত হিসাবে যে ভাবে মানুষ হতে চেয়েছি তার একটুও হয়নি । না , কোনো কিছুতেই কম করেননি আমার বাবা-মা । সেদিক থেকে হিসাব করলে অবশ্য একটু বেশিই পেয়েছি । কিন্তু তারা আমাকে বোঝেননি । তারা আমাকে সবসময় ছোট ভেবে গিয়েছেন । আমার মনে হয় তাদের কাছে আমি বড় হব না , চিরকাল ছোট থেকে যাব ।

প্রতিটা ছেলে-মেয়েদের মত আমারো বড় হয়ে কিছু হওয়ার শখ ছিল । কিন্তু আমার বাবা-মা আমাকে বোঝেননি । তাদেরও কিছু আশা ছিল যে , তাদের ছেলে বড় হয়ে তাদের আশানূযায়ী কিছু হবে , যেটা প্রতি বাবা-মাদেরই থাকে । এদিক থেকে ইউরোপিয়ান বাব-মা খুব ভাল । তাদের থাকে না কোনো আশা । তাদের কথা হল : ছেলের জীবন , ছেলেই বুঝবে সে বড় হয়ে কি করবে ।

ছোটবেলা থেকেই একটা বড় ভাই অথবা একটা ছোট বোন চেয়েছি । কিন্তু কি করে আমার আশা পূরণ হবে ?? আমিই তো তাদের বড় ছেলে । তাই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর জন্য চেয়েছি একটা ছোট বোন অথবা একটা ছোট ভাই । কিন্তু আমার বাবা-মার কথা হচ্ছে : তুই তো আমাদের ছেলে , আবার তুই আমাদের মেয়ে । আমরা তো খুব সুখেই আছি । তাহলে কিসের জন্য দরকার আরেকটা ভাই অথবা বোন ?? এর উপরে আর কোনো প্রশ্ন থাকতে পারে না ।

আল্লাহ যে , প্রতিটা মানুষকে একি ভাবে স্ষ্টি করেননি সেটা কোরআনেই উল্লেখ আছে । কেউ খুব ব্রেনি আবর কেউ পড়ালেখাতে খুব খারাপ । আমি এমন মানুষ ও দেখেছি যারা অনেক পড়ালেখা করেও যা করতে পারেননি সেই কাজ করেছেন কম পড়ালেখা মানুষটি । কিন্তু ২য় ছেলেটির বাবা-মার দুঃখ হচ্ছে সে বেশি পড়াশোনা করেনি । এর জন্য দুঃখের কি আছে সেটাই তো আমার মাথায় আসে না ।

আর কিছু ভাল লাগে না । ঘরের মধ্যে শুয়ে এইসব চিন্তা করছি । বারান্দা থেকে আম্মু এবং আমার আন্টির ( আমার বন্ধুর মা ) গলা শোনা যাচ্ছে । কথার মাঝখানে আমার মা গলার স্বর নিচু করে ফেললো হঠাৎ করে । কউতুহল বসত খুবই শোনার ইচ্ছা হল কি বলছে তারা । দরজার আড়ালে যেয়ে দাড়ালাম ।

----- শাওনের যখন জন্ম হয় , তখন ডাক্তার বলে যে , শাওন যত বড় হবে ততই তার ব্রেন লোপ পেতে থাকবে । কথাটা শুনে আবার খাটে যেয়ে শুয়ে পড়লাম ।

মাগরিবের আযান দিয়েছে । নামাজ পড়তে চলে গেলাম মসজিদে । নামাজ পড়ে চাচাত ভাইকে সাথে নিয়ে চলে গেলাম মাইকেলের কপোতাক্ষর কোণে । চাঁদ উঠেছে । সুন্দর চাঁদ । চোখ দিয়ে দুই ফোটা নোনা পানি বেয়ে পড়ল । চাঁদের আলোতে চিকচিক করে উঠলো চোখের পানি । পাশে দাড়ানো চাচাত ভাই বললো : ভাইয়া তোমার চোখে পানি কেন . . . ???

Friday 16 March 2007

ছাঁয়া কন্যার শান্তির ছাঁয়া

আমি যখন মারা গেলাম তখন সন্ধ্যা ৭টার কিছু বেশি । আকাশটা ধুসর নীল । বিকাল থেকে বুক ব্যাথা করতেছিলো । হঠাৎ করে চলে গেলাম দূনিয়া থেকে ।

আমার আত্মাটা এখনো ঘরের ভেতর আছে । প্রিয়জনরা কাঁদছে দেখলাম । সারা বিশ্ব জেনে গিছে । চারদিক খবর পাঠানো হয়েছে । গ্রামের বাড়ী মানুষ পাঠানো হয়েছে পারিবারিক কবরাস্থানে সাড়ে ৩ হাত মাটি খোড়ার জন্য ।পারিবারিক মানুষ আসা শুরু করেছে বাসায় । আমার লাশকে একটু পর গোছল করাবে শুনলাম । মসজীদ থেকে খাটিয়া আনছে । হুজুর আসছে ।

রাত ১২টা কয়েক মিনিট । কে যেনো বললো ফজরের নামাজের পর কবর দেওয়া হবে । এর মধ্যে পরিবারের মানুষ এসে যেন শেষবারের মত আমার মুখটা দেখতে পায় ।

আমার শরীরকে গোছল দেওয়া হলো । সাদা কাপড় পড়ানো হয়েছে । ধুপের গন্ধ বের হচ্ছে । গোলাপ জল ছিটালো কে যেনো ।

এতজন ছেড়ে আমাকে চলে যেতে হবে । খারাপ লাগছে । খুবই খারাপ । কান্না আসার মত খারাপ । আমার এক বন্ধু রেগে গেলে কান গরম হয়ে যায় । আরেকটু ফর্সা হলে হয়ত লাল হয়ে যেতো । দরকার নাই ফর্সা হওয়ার । যেমন আছে তেমনই ভালো । আযান দিছে ফজরের শুনলাম । কি মধুর কন্ঠ ।

আমকে আরেকটু পর খাটিয়াতে উঠাবে । আমি মাটির নিচে থাকবো কি করে ? আমার তো দম বন্ধ হয়ে যাবে । সাপ আসবে । উফফ , চিন্তা করতে চাচ্ছি না ।

. . . আমাকে কবর দিয়ে সবাই চলে গিয়েছে । আমার পেট ব্যাথা করছে । ভয় পেলে পেট ব্যাথা করে ।

. . . কয়েকদিন পরের কথা . . . আকাশে চাঁদনী রাত । ঐ গাছটার পাতার ফাক দিয়ে আলো পড়েছে আমার কবরের উপর । হঠাৎ একটা ছায়া পড়লো কবরের উপর । ছায়া কন্যার ছায়া । আমি জানতাম সে আসবে ।


আমি এভাবেই ঘুমিয়ে থাকবো । ছায়াকন্যার শান্তির ছায়ায় চিরকাল . . .